অন্ধকার থেকে আলোকৃত জীবন Life enlightened from darkness
সূরা আন-নুর (আলো)
বাংলা অর্থঃ যারা বৃদ্ধা নারী, যারা বিয়ের আশা রাখেনা, তাদের জন্য অপরাধ নেই যদি তারা তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে তাদের বহির্বাস খুলে রাখে, তবে এটা হতে বিরত থাকাই তাদের জন্য উত্তম। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
আল কুরআনের আলোকে জীবনকে ধন্য করুন।
তাফসীরঃ এ থেকে বুঝা যায় যে, এমন বৃদ্ধ নারী যাদের মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে ও সন্তান দেওয়ার যোগ্যতা শেষ হয়ে গেছে। এই সময়ে যে নারীর মধ্যে পুরুষদের প্রতি যৌনকামনার মনোবাসনা শেষ হয়ে গেছে প্রাকৃতিক আকর্ষণ থাকে না, থাকেনা পুরুষদের মধ্যে তাদের প্রতি প্রাকৃতিক যৌনকামনার মনোভাব তাদের কে বুঝানো হয়েছে ঐ নারী/মহিলা। এই সমস্ত মহিলাদের কে পর্দার প্রতি ইসলামিক আইন শিথিল করা হয়েছে। এখানে বহির্বাস বলতে দেহের বাইরে বা উপরের লেবাস যা শালওয়ার-কামিজের উপর বড় চাদর বা বোরকারুপে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সুতরাং এই বয়সে তার বোরকা বা চাদর খুলে রাখা যেতে পরে বলে বুঝা যাচ্ছে। তবে এখানে শর্ত হল, যেন সৌন্দর্য, সাজসজ্জা ও প্রসাধন ইত্যাদির প্রকাশ উদ্দেশ্য না হয়। যার অর্থ হলো যার যৌন অনুভুতি শেষ হওয়া সত্বেও সাজগোজ ও ঠসক করার রোগে আক্রান্ত থাকে তবে তার পর্দা করার বিধান অনিবার্য এখানে শিথিল করার কোন উপায় নেই। তবে বৃদ্ধা যদি পর্দার ব্যাপারে শৈথিল্য না করে তাহলে বড় চাদর ব্যবহার বা বোরকা ব্যবহার করতে থাকে তবে সেটাই তাদের জন্য উত্তম।
আয়াত নং-৬২
বাংলা অর্থঃ তারাই ম’ুমিন যারা আল্লাহ এবং রাসুলের উপর ঈমান আনে এবং রাসূলের সঙ্গে সমষ্টিগত ব্যাপারে একত্র হলে তার অনুমতি ব্যতীত তারা সরে পড়ে না, যারা অনুমতি প্রার্থনা করে তারাই আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলে বিশ্বাসী, অতএব তারা তাদের কোন কাজে বাইরে যাবার জন্য তোমার অনুমতি চাইলে তাদের মধ্যে যাদেরকে ইচ্ছা তুমি অনুমতি দিবে এবং তাদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
আল কুরআনের আলোকে জীবনকে ধন্য করুন।
তাফসীরঃ অর্থাৎ জুমআহ ও ঈদের মম্মেলনে অথবা ভিতর ও বাইরের কোন সমস্যার সমাধানকল্পে আহূত পরামর্শ সভায় ঈমানদাররা উপস্থিত হয়ে থাকে। আর উপস্থিত হতে না পারলে অথবা প্রয়োজনে সভা ছেড়ে যেতে হলে অনুমতি গ্রহন করে। যার বিপরীত অর্থ এই যে, মুনাফিকরা এ সমস্ত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা হতে এবং নবী (সাঃ) এর কাছে অনুমতি নেওয়া হতে দূরে থাকার চেষ্টা করে। মুনাফিকরা সব সময় দুদিকে যুকে থাকে না এর পক্ষে না ওনার পক্ষে কারন তারা যা বলে অন্তর থেকে বলে না, যখন যে দিকে সুবিধা পায় সেদিকেই চলে। উপরোক্ত অর্থ হতে আমরা বুঝতে পারি যে, অনুমতি নেওয়া এবং দেয়ার গুরুত্ব। অনমতির মাঝেও যে আদব নিহিত তা এখানে বুঝা যায়।